মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২

সবাই তো সুখী হতে চায়


সবাই তো সুখী হতে চায়

লিখেছেন বাবুয়া, সন্ধ্যা ০৭: ৫৯, ২০ জুন, ২০১১

সবাই তো সুখী হতে চায়


"সবাই তো সুখী হতে চায়"-প্রিয় শিল্পী মান্না দে'র একটি জনপ্রিয় গান।
পুরনো দিনের গান শুনতে ভালো লাগে আমার।ভালো লাগে মান্না দে'র গান।সময় সুযোগ পেলে গান শুনি।আজ মান্না দে'র এই গানটাশুনে সুখ সম্পর্কে নতুন কিছু উপলব্ধি খুঁজে পাই। 

একজন ব্যক্তির যা কিছু আছে তাই নিয়ে যদি সে সন্তুষ্ট থাকতে পারে তাহলেই তার পক্ষে সুখী হওয়া সম্ভব। আর এই সুখের পেছনেই মানুষ ছুটছে হন্যে হয়ে। তবে এর পেছনে বল্গাহীনভাবে ছুটোছুটি করলেই যে একে ধরা যাবে এমনটি নিশ্চিত করে বলা যায় না। কারণ, সুখ যে এক সোনার হরিণ। ভারতের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী মান্না দে যথার্থই গেয়েছেন, ‘সবাই তো সুখী হতে চায়, তবু কেউ সুখী হয় কেউ হয় না। এ দুনিয়ায় সবাই সুখী হবার বাসনা পোষণ করে; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সবার কপালে সুখ জোটে না। মানুষের চাওয়া ও পাওয়ার মধ্যে যে বিস্তর ফারাক তা থেকে জন্ম নেয় অতৃপ্তি, যা হরণ করে নেয় সুখ নামক মানুষের মহামূল্যবান বস্তুটিকে। মানুষ যা চায় সবসময় তা পায় না, আবার অনেক সময় যা পায় ভুল করেও সে তা চায় না। মানুষের চাওয়ার কোনো নির্দিষ্ট গণ্ডি নেই। এ দুনিয়াতে যে যত পায় সে ততোই চায়। এত বেশি চাইতে গেলেই মানুষের যত বিপত্তি। মানুষ যদি তার চাওয়াগুলোকে সীমিত রাখতে পারতো বা করতে পারতো নিয়ন্ত্রণ, তাহলে তার মনে এত হতাশা বা অশান্তি জন্ম নিতো না। 



প্রকৃতপক্ষে, সুখ একটি মানসিক ব্যাপার। যে ব্যক্তি মনের দিক থেকে সুখী, সেই সত্যিকার অর্থে সুখী। পবিত্র হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে, ‘প্রচুর ধন-সম্পত্তির মধ্যে সুখ নেই, মনের সুখই প্রকৃত সুখ। কথায় বলে, সন্তোষই সুখ। এ কথাটিই মূর্ত হয়ে ফুটে উঠেছে ব্রিটিশ কবির উল্লেখিত কবিতায়। আমাদের পক্ষে সন্তুষ্ট থাকা সম্ভবপর হতে পারে যদি আমাদের তুলনায় যাদের অনেক কম আছে তাদের কথা আমরা চিন্তা করি অথবা তাদের সঙ্গে আমাদের অবস্থানকে তুলনামূলক বিচারে মূল্যায়ন করতে সচেষ্ট হই। তবে একথা সত্য যে, একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারলে মানুষের মধ্যে হতাশা থেকেই যায়। কিন্তু সে পর্যায়ে পৌঁছাবার পর তাকে অবশ্যই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। তবেই তার পক্ষে সুখী হওয়া সম্ভব। অর্থ সম্পদ ছাড়াও সুখী হবার আরো কিছু নিয়ামক রয়েছে। যারা ধার্মিক এবং সত্যিকার অর্থে ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে চলেন, প্রকৃতপক্ষে তারাই হতে পারেন সফলকাম ও সুখী। ধর্ম-কর্ম ছাড়াও যারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সততা বজায় রাখতে সচেষ্ট হন, যারা মানবতার কল্যাণ সাধনে ব্যাপৃত হন, তাদের জীবনও অনাবিল স্বর্গীয় সুখে ভরে ওঠে। তাই সুখ পেতে হলে সীমাহীন বিত্তবৈভবের পিছু ধাওয়া না করে অল্পতে তুষ্ট থেকে মহান স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মানসিক শান্তি পাবার প্রয়াস পেলে তবেই সুখী হওয়া সম্ভব হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন