রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

কাকস্য রোদণঃ


কাকস্য রোদণঃ 

খুব ছেলে বেলায় "কাক চরিত" নামক একটা রচনা পড়েছিলাম। তাতে কাক বিশয়ে অনেক কথা জেনেছিলাম। যেমন কাক "প্রকৃতির পরিচ্ছন্ন কর্মী"। মানবকুল ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় খুব ভোর বেলা কাক ঘুম থেকে জেগে প্রথমেই মানবকুল সৃস্ট ময়লা আবর্জনা খেয়ে পরিস্কার করে ফেলে। কাক হয়ত মনুষ্যকুলের অনেক উপকারই করে থাকে কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিশয়-কাক তার কর্মের নুণ্যতম স্বীকৃতিটুকু মানব জাতির কাছ থেকে পায়না। কাক ডাকা ভোরে মানুষ যদি খালি পায়ে সবুজ ঘাসের উপড় হাটাহাটি করে তাহা হইলে সারা দিন শরির-মন সুস্থ্য এবং ঝরঝরে থাকে-ইত্যাদি ইত্যাদি। আরো লেখা ছিল-কাকের বাসায় মানুষের গৃহস্তালীর এমন জিনিষ পাওয়া যায়না যা অন্য কোন প্রাণীর বাসায় খুব কম দেখা যায়। কাকের খারাপ দিক সম্পর্কে লেখাছিল-কাক হাস-মুরগীর ডিম, ছোট ছোট বাচ্চা, শিশুদের হাত থেকে খাবার, পুকুর ঘাট থেকে সাবান এমনকি পঞ্জের স্যান্ডাল পর্যন্ত ছোঁ মেরে নিয়ে যায়। কাক এর বিরুদ্ধে সব চাইতে গুরুতর অভিযোগ ছিল- কাক পথচারীদের মাথায় নোংড়া মল বর্ষন করে.........!ছিঃ!! ছিঃ!!! কথাটা সম্পুর্ণ মিথ্যা নয়। অমন পরিস্থিতির সম্মুখীন আমার মত অনেকেই দু'একবার হয়ে থাকবেন হয়ত।

ধানমন্ডি ১০ নম্বর রোডের সামনে লেকের পাড়ে অনেক গাছপালা এবং সেই গাছে যথারিতি কাকের বাসা। লেকের পাড়ে সব সময় প্রেমিক তরুণ তরুণীদের এবং ভ্রমন পিয়াসীদের জটলা লেগেই থাকে। তখন কাক তার চিরদিনের স্বভাব মত অনেক অপকর্ম করে সকলের বিরক্তির কারন ঘটায়-সেই দৃশ্য আমি প্রায়ই দেখি। কয়েক দিন পুর্বে এক ছুটির দিনে খুব সকাল বেলা হঠাত আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে "কাকস্য রোদণ" শুনে হেটে হেটে লেকের পাড়ে যাই। চারিদিকে শুধু কাক আর কাক! কাকের কর্কষ চিতকার চেচামেচিতে কান ঝালাপালা। কাকেরা মহা সমাবেশ করছে। সব কাকই বক্তা। কেউ কাউকে শুনছেনা। সবাই চিতকার করে বলছে-অনেকটা আমাদেরকাকস্য রোদণঃ 


খুব ছেলে বেলায় "কাক চরিত" নামক একটা রচনা পড়েছিলাম। তাতে কাক বিশয়ে অনেক কথা জেনেছিলাম। যেমন কাক "প্রকৃতির পরিচ্ছন্ন কর্মী"। মানবকুল ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় খুব ভোর বেলা কাক ঘুম থেকে জেগে প্রথমেই মানবকুল সৃস্ট ময়লা আবর্জনা খেয়ে পরিস্কার করে ফেলে। কাক হয়ত মনুষ্যকুলের অনেক উপকারই করে থাকে কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিশয়-কাক তার কর্মের নুণ্যতম স্বীকৃতিটুকু মানব জাতির কাছ থেকে পায়না। কাক ডাকা ভোরে মানুষ যদি খালি পায়ে সবুজ ঘাসের উপড় হাটাহাটি করে তাহা হইলে সারা দিন শরির-মন সুস্থ্য এবং ঝরঝরে থাকে-ইত্যাদি ইত্যাদি। আরো লেখা ছিল-কাকের বাসায় মানুষের গৃহস্তালীর এমন জিনিষ পাওয়া যায়না যা অন্য কোন প্রাণীর বাসায় খুব কম দেখা যায়। কাকের খারাপ দিক সম্পর্কে লেখাছিল-কাক হাস-মুরগীর ডিম, ছোট ছোট বাচ্চা, শিশুদের হাত থেকে খাবার, পুকুর ঘাট থেকে সাবান এমনকি পঞ্জের স্যান্ডাল পর্যন্ত ছোঁ মেরে নিয়ে যায়। কাক এর বিরুদ্ধে সব চাইতে গুরুতর অভিযোগ ছিল- কাক পথচারীদের মাথায় নোংড়া মল বর্ষন করে.........!ছিঃ!! ছিঃ!!! কথাটা সম্পুর্ণ মিথ্যা নয়। অমন পরিস্থিতির সম্মুখীন আমার মত অনেকেই দু'একবার হয়ে থাকবেন হয়ত।

ধানমন্ডি ১০ নম্বর রোডের সামনে লেকের পাড়ে অনেক গাছপালা এবং সেই গাছে যথারিতি কাকের বাসা। লেকের পাড়ে সব সময় প্রেমিক তরুণ তরুণীদের এবং ভ্রমন পিয়াসীদের জটলা লেগেই থাকে। তখন কাক তার চিরদিনের স্বভাব মত অনেক অপকর্ম করে সকলের বিরক্তির কারন ঘটায়-সেই দৃশ্য আমি প্রায়ই দেখি। কয়েক দিন পুর্বে এক ছুটির দিনে খুব সকাল বেলা হঠাত আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে "কাকস্য রোদণ" শুনে হেটে হেটে লেকের পাড়ে যাই। চারিদিকে শুধু কাক আর কাক! কাকের কর্কষ চিতকার চেচামেচিতে কান ঝালাপালা। কাকেরা মহা সমাবেশ করছে। সব কাকই বক্তা। কেউ কাউকে শুনছেনা। সবাই চিতকার করে বলছে-অনেকটা আমাদের জাতীয় সংসদ সদস্যদের মত। সংসদে যখন সরকারী এবং বিরোদী দলীয় সদস্যগন উপস্থিত থাকেন তখন যেমন সরকারী দল এবং বিরোধী দল সবাই এক সাথে বলছে!

আরো একটু সামনে এগিয়ে দেখতে পাই-একটা কাকের বাচ্চা মাটিতে পরে কাত্রাচ্ছে। কয়েকজন কাগজ কুড়ানী কিশোর গাছ থেকে কাকের বাসা পেরে বাসাথেকে কিছু লোহার তারের টুকড়া, বিদ্যুতের ছেরা তার, ছেড়া স্যান্ডাল, পলিথিন ইত্যাদি ছাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আরো একটা কাকের বাচ্চা গাছের ডালে ঝুলে আছে।আমি বুঝতে পারলাম-কাগজ কুড়ানী কাকের বাসার সাথে থাকা তার, রাবার ইত্যাদি সংগ্রহ করতে গিয়ে কাকের বাচ্চা ফেলে দেবার কারনেই কাককুলের এই আন্দোলন! আমার দেখা এবং ভাবনাটা যদি এখানেই থেমে থাকতো তাহলে সব চাইতে ভাল হতো। কিন্তু তা হবার নয়।

ধানমন্ডি ১০ নম্বর রোডে "হোয়াইট প্যালেস" নামক একটা কমিউনিটি সেন্টার আছে। সারা বছর সেখানে প্রায় প্রতি দিনই নানান উতসব অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। অভ্যাগতরা খাবার খেয়ে চলে যাবার পর তাদের উচ্ছিট খাবার লেকের পাড়েই ফেলে দেয়া হয় বরাবর। সেই উচ্ছিট খাবার খেতে কুকুর ও কাকের সাথে অনাহারি শীর্ণ মানুষগুলোর সাথে প্রতিদ্বন্দিতা লেগে যায়! সৃস্টির সেরা জীব আশরাফুল মখলুকাত মানবশিশুর ইটপাটকেল খেয়ে কাক আর কুকুর একটু দূরে চলে গেলেই কিছুটা শক্তিশালী জীর্ণ শীর্ণ মানবশিশু সব খাবার কেড়ে নেয়! অথচ ঐ খাবারের একমাত্র দাবীদার ছিল কাক এবং কুকুর! কখনো কখনো মানব শিশু, কুকুর এবং কাক একসাথে ডাস্টবিন থেকে খাবার খায়! একই দৃশ্য দেখা যায় ধানমন্ডি সাত নাম্বার রোডে লেকের কাছে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার অস্থায়ী ডাম্পেও।

অভাব মানুষকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে-কাকের বাসায় জড়িয়ে থাকা সামাণ্য লোহার টুকড়া,কিম্বা রাবারের টুকরাও ভাঙ্গাড়ী দোকানীকে বিক্রির জন্য মানব সন্তান কাক সন্তানকে মৃত্যুর মুখে ছুড়ে ফেলে দিয়ে কাকের ঘর কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে! অভাব মানুষকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে-ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য ডাস্টবিন থেকে মানুষ-কুকুর-কাক একসাথে উচ্ছিস্ট কুড়িয়ে খাচ্ছে! আমার ভালোলাগছেনা কিছুই। 

 জাতীয় সংসদ সদস্যদের মত। সংসদে যখন সরকারী এবং বিরোদী দলীয় সদস্যগন উপস্থিত থাকেন তখন যেমন সরকারী দল এবং বিরোধী দল সবাই এক সাথে বলছে!

আরো একটু সামনে এগিয়ে দেখতে পাই-একটা কাকের বাচ্চা মাটিতে পরে কাত্রাচ্ছে। কয়েকজন কাগজ কুড়ানী কিশোর গাছ থেকে কাকের বাসা পেরে বাসাথেকে কিছু লোহার তারের টুকড়া, বিদ্যুতের ছেরা তার, ছেড়া স্যান্ডাল, পলিথিন ইত্যাদি ছাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আরো একটা কাকের বাচ্চা গাছের ডালে ঝুলে আছে।আমি বুঝতে পারলাম-কাগজ কুড়ানী কাকের বাসার সাথে থাকা তার, রাবার ইত্যাদি সংগ্রহ করতে গিয়ে কাকের বাচ্চা ফেলে দেবার কারনেই কাককুলের এই আন্দোলন! আমার দেখা এবং ভাবনাটা যদি এখানেই থেমে থাকতো তাহলে সব চাইতে ভাল হতো। কিন্তু তা হবার নয়।

ধানমন্ডি ১০ নম্বর রোডে "হোয়াইট প্যালেস" নামক একটা কমিউনিটি সেন্টার আছে। সারা বছর সেখানে প্রায় প্রতি দিনই নানান উতসব অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। অভ্যাগতরা খাবার খেয়ে চলে যাবার পর তাদের উচ্ছিট খাবার লেকের পাড়েই ফেলে দেয়া হয় বরাবর। সেই উচ্ছিট খাবার খেতে কুকুর ও কাকের সাথে অনাহারি শীর্ণ মানুষগুলোর সাথে প্রতিদ্বন্দিতা লেগে যায়! সৃস্টির সেরা জীব আশরাফুল মখলুকাত মানবশিশুর ইটপাটকেল খেয়ে কাক আর কুকুর একটু দূরে চলে গেলেই কিছুটা শক্তিশালী জীর্ণ শীর্ণ মানবশিশু সব খাবার কেড়ে নেয়! অথচ ঐ খাবারের একমাত্র দাবীদার ছিল কাক এবং কুকুর! কখনো কখনো মানব শিশু, কুকুর এবং কাক একসাথে ডাস্টবিন থেকে খাবার খায়! একই দৃশ্য দেখা যায় ধানমন্ডি সাত নাম্বার রোডে লেকের কাছে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার অস্থায়ী ডাম্পেও।

অভাব মানুষকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে-কাকের বাসায় জড়িয়ে থাকা সামাণ্য লোহার টুকড়া,কিম্বা রাবারের টুকরাও ভাঙ্গাড়ী দোকানীকে বিক্রির জন্য মানব সন্তান কাক সন্তানকে মৃত্যুর মুখে ছুড়ে ফেলে দিয়ে কাকের ঘর কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে! অভাব মানুষকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে-ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য ডাস্টবিন থেকে মানুষ-কুকুর-কাক একসাথে উচ্ছিস্ট কুড়িয়ে খাচ্ছে! আমার ভালোলাগছেনা কিছুই। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন