সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২

একটি রচনাঃ



একটি রচনাঃ
২৩ শে আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৪৫


স্বাতু নামের একটি ছেলে স্কুলে পড়ে। সে ছাত্র হিসেবে খারাপ নয়। তবে তার একটা সমস্যা আছে। বাংলা ক্লাশের শিক্ষক তাকে যে কোন রচনাই লিখতে দিকনা কেন-সে কুমিরের রচনা লিখে শেষ করে!একদিন স্যার ক্লাশে গরুর রচনা লিখতে দিয়েছেন। স্বাতু মিয়া লিখেছে- “ গরু একটি ঊপকারি প্রানী। গরুর চারটি পা, দুইটি কান, এবং পিছনে লম্বা একটি লেজ আছে।ঘাস গরুর প্রধান খাদ্য।তবে গরু কিন্তু আমার মত কু-কথা বলিতে পারেনা! মনে রাখবেন-গরুকে ঘাস খাওয়াবার জন্য গরুকে নদীর ধারে বেঁধে রাখবেননা। কারন নদীতে কুমির আছে।

আমরা জানি-কুমির একটি হিংস্র প্রানী। কুমিরের চারটি পা, একটি লেজ এবং মুখ ভর্তি অত্যন্ত ধারালো দাঁত আছে।কিন্তু কুমিরের চোখে কোনো চশমা নেই।তার সারা শরীর খেজুর গাছের মতো কাটা কাটা খাজ.........ইত্যাদি ইত্যাদি।

আবার একদিন শিক্ষক লিখতে দিয়েছেন বাড়ীর রচনা। স্বাতু লিখলো-“ বাড়ীতে আমরা মা, বাবা, ভাই-বোন নিয়ে নিরাপদে বসবাস করি।বাড়ী আমাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল।কিন্তু কোন অবস্থাতেই নদীর ধারে আমাদের বাড়ী বানানো ঊচিত নয়।কেননা নদীতে কুমীর আছে......... আমরা জানি-কুমির একটি হিংস্র প্রানী। কুমিরের চারটি পা, একটি লেজ এবং মুখ ভর্তি অত্যন্ত ধারালো দাঁত আছে।কিন্তু কুমিরের চোখে কনো চশমা নেই।তার সারা শরীর খেজুর গাছের মতো কাটা কাটা খাজ.........ইত্যাদি ইত্যাদি।

স্বাতুর এহেন আচরনে শিক্ষক সাহেব স্বাতুর ঊপর বেজায় ত্যাক্ত-বিরক্ত!শিক্ষক মহোদয় ঠিক করলেন- স্বাতুকে এমন একটি রচনা লিখতে দিবেন যেখানে স্বাতু মিয়া কোন ভাবেই কুমিরকে টেনে আনতে পারবেনা। অনেক চিন্তা ভাবনা করে শিক্ষক ক্লাশে রচনা লিখতে দিলেন। বিষয়ঃ "পলাশীর যুদ্ধ"।
স্বাতু মিয়া তার যুক্তি যুক্ত এবং সুন্দর হস্তাক্ষরে রচনা লিখে নিয়ে হাজির করলোঃ-

রচনাঃ পলাশীর যুদ্ধ।

ভুমিকাঃ- পলাশীর যুদ্ধ বাংলার ইতিহাসের এক ঐতিহাসিক ঘটনা। সেই যুদ্ধে নবাব সিরাজুদ্দৌলার বাহিনী ইংরেজ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়।বিশাল আকারের নবাব বাহিনীর এই যুদ্ধে জয়লাভ করা কোন ব্যাপারি ছিলনা।কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে নবাব সিরাজুদ্দৌলা মীর জাফর আলীকে বিশ্বাস করে যেন খাল কেটে কুমির আনলেন।
আমরা জানি-কুমির একটি হিংস্র প্রানী। কুমিরের চারটি পা, একটি লেজ এবং মুখ ভর্তি অত্যন্ত ধারালো দাঁত আছে।কিন্তু কুমিরের চোখে কনো চশমা নেই।তার সারা শরীর খেজুর গাছের মতো কাটা কাটা.........ইত্যাদি ইত্যাদি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন