সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২

গাযায় ইস্রাইলী বর্বরতাঃ



গাযায় ইস্রাইলী বর্বরতাঃ

ফিলিস্তিনের গাযা উপত্তকায় ইসরাইলী বর্বর হানাদার বাহিনী হামাস যোদ্ধাদের নিশ্চিনহ করার জন্য গত ১৯/২০ দিন যাবত একটানা সামরিক অভিযান চালিয়ে শত শত শিশু, নারী পুরুষ নির্বিশেষে নির্মম ভাবে হত্যা করে যাচ্ছেতাদের এই বর্বর হামলায় ইতোমধ্যে নয় শতাধিক মানুষের প্রান কেড়ে নিয়েছে! আহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষবিমান, ট্যাংক, ফস্ফরাস বোমা হামলায় অসংখ্য ঘর বাড়ী মাটির সাথে মিশে গিয়েছেইস্রাইলী বর্বরতায় রক্ষা পায়নি ফিলিস্তিনী শিশুদের জন্য নির্মিত জাতিসংগের স্কুল পর্যন্তইস্রাইলী তান্ডবে গাযা এখন পরিনত হয়েছে-বধ্যভূমিতেদুনিয়া জুড়ে যখন লক্ষ লক্ষ শান্তি প্রিয় মানুষ ইস্রাইলের এই বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে তখন বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন সরকার, বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এই বর্বর গণহত্যাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে! এই বর্বর গণহত্যা বন্ধের জন্য জাতিসংগ, আরব লীগ, ওয়াইসি তেমন কোন অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে পারছেন! এই সব সংগঠঙ্গুলো মূলত মার্কিন-ইহুদী চক্রের তাবেদারীতেই ব্যাস্ত

সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন আগ্রাসী নেতৃত্বে তাদের পদলেহনকারী অন্যান্য পরাশক্তি দেশগুলোর সমর্থনে যেভাবে ইরাক, আফগানিস্তান ধংশ করে দিয়েছে-ঠিক একই পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনকেও ধংশ করতে চায়শুধু মুসলিম বিশ্ব নয়, আজ সময় এসেছে-বিশ্বের সকল মানবতাবাদীদের এক হয়ে এই বর্বর আগ্রাসী হামলার বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবারকিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিশয়-আন্তরজাতিক মানবাধিকার সংস্থা সহ শান্তিবাদী নোবেল লরিয়েটগণ পর্যন্ত মুখে কুলুপ এটে টিভি পরদায় লাইভ নারকীয় হত্যাযজ্ঞ দেখে সময় কাটাচ্ছে!

আসলে বিশ্বের সকল শক্তির একটাই ইচ্ছা তারা চায়না মধ্যপ্রাচ্যে এবং মুসলিম বিশ্বে আর কোন দেশ কোন দিন যাতে মাথা উঁচু করে দাড়াতে নাপারেইতোমধ্যে পশ্চিমা পরাশক্তি ইরাকের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছেলক্ষ লক্ষ ইরাকীদের নির্বিচারে হত্যা করে স্বাধীন ইরাকের অস্তিত্ব মরুভুমির উত্তপ্ত বালুর সাথে মিশিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান ভাষছে রক্ত গঙ্গায়পাকিস্তান জ্বলছে! বাকী আছে-ইরানইরান যাতে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামরিক শক্তিতে বলীয়ান হতে না পারে-সে জন্য ইরানের বিরুদ্ধে চলছে অর্থনৈতিক অবরআসলে বিশ্ব পরাশক্তি এবং ইহুদীচক্রের একমাত্র মতলব হচ্ছে-মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সহ অন্যান্য মুসলিম রাস্ট্রগুলো তাদের তাবেদার রাস্ট্র হয়ে থাকবে আজীবনকালযেমনটি এখনো তারা তাবেদারী করছেতাতে সুবিধা হবে তেল সম্পদের উপড় নিরঙ্কুশ আধিপত্য বজায় রেখে অন্যের ধনে আরো বেশী ধনী হওয়াশুধু মাত্র সেই লক্ষে ইসরাইলকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এগিয়ে যাচ্ছে-সকল মানবতা, নৈতিকতা ভূলুন্ঠিত করে!


শান্তিপ্রিয় মানুষ দেখেছে-ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, চেচনিয়া, ইরাক, ইরান সহ সকল মুসলমানদের ইস্যুতে বিশ্ব বিবেক সব সময়ই চোখ কান বন্ধ করে থাকে শান্তি আলোচনা দিয়ে আর রক্ষা করা যাবেনা-মুসলিম জাহানকেআমারিকান-ইহুদীদের এই অন্যায় বর্বর ধংশ থেকে আরবদের, তথা মুসলমানদের নিজেকেই রক্ষা করতে হবে সর্ব শক্তি নিয়োগ করেফিলিস্তিনী প্রতিটা নিস্পাপ মৃত শিশুর ফোটায় ফোটায় জন্ম দিতে হবে এক একটি টাইম বোম্বেরএকটি একটি ডিনামাইটেরধংশ ছারা নতুনের সৃস্টি হয়নাসময় সুযোগ মত তা ব্লাস্ট করতে হবে শত্রুর দূর্গেধংশ করে দিতে হবে সকল সাম্রাজ্যবাদীর তাসের ঘরসেই ধংশ হবে নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যসেই ধংশের ভিতর থেকে জন্ম নিবে নতুন এক পৃথিবীর। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন