সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২

বিস্ময়কর আমাজানঃ


বিস্ময়কর আমাজানঃ

লিখেছেন বাবুয়া, সকাল ১০: ১০, ১৯ জুলাই, ২০১১

http://static.howstuffworks.com/gif/willow/the-amazon-river0.gif
বিস্ময়কর আমাজানঃ
আমাজান একটি নদীর নাম।এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী কিন্তু সব চাইতে প্রশস্ততম নদী। মোহনার কাছাকাছি আমাজানের প্রশস্ততা ১১ কিলোমিটার। বর্ষার সময় তা বেড়ে দাড়ায় ৪০ কিলোমিটার। আরো অবাক হবারমতো তথ্য হলো-আটলান্টিক মহাসাগরের সংগমস্থলে এই নদীর প্রশস্ততা হয় ৩২০ থেকে ৩২৫ কিলোমিটার!
আরো একটি মজার তথ্যহলো-আমাজানের তিনটি নাম। পেরুর আন্দিজ পর্বতমালার উতসস্থলে আমাজানের নাম রিও সুলিমোস। ‘রিও নেগো’ হলো মানারুসের কাছ পর্যন্ত অংশ এবং মানারুস থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পর্যন্ত চলে আশা অংশের নাম ‘ আমাজোনাস’-যাকে আমরা আমাজান বলেই জানি।
http://www.dimensionsguide.com/wp-content/uploads/2009/11/Amazon-River.jpg
আমাজান নদী পাঁচটি দেশের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদেশগুলো হলো ব্রাজিল, বলিভিয়া, ইকুয়েডর, ভেনিজুয়েলা ও পেরু। ব্রাজিলে রয়েছে আমাজানের অর্ধেক শরির। বাকী শরির অন্য চারটি দেশের ভেতরদিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আমাজানের মাধ্যমে নানাভাবে প্রভাবিত এলাকার পরিমান কমকরেও ২ লক্ষ ৩০ হাজার বর্গ মাইল। এই নদীর দুই তীরে বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে রেইনফরেস্ট। এসব রেইনফরেস্টে কম করে হলেও ৫০ লক্ষ প্রজাতির জীবের অস্তিত্ব রয়েছে। শুধু প্রজাপতিই আছে আঠারোশ ধরনের। আর গাছপালা? গাছপালা আছে ২৫ হাজার প্রজাতির।

আমাজান পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী হলেও পানির পরিমানের দিক ঠেকে রয়েছে একনম্বরে। কারন ৭০ লক্ষ ৫০ হাজার বর্ব মিটার জুড়ে এর অববাহিকার অবস্থান। এই নদী থেকে প্রতিদিন ৫ ট্রিলিয়ন গ্যালন পানি আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে পৌঁছে। আর আমাজানের মোহনায় দৈনিক ৩০ লক্ষ টন তলানী জমা হয়।

আমাজান নদীকে বলা হয় ‘সম্পদ সৃস্টির নদী’। কারন আমাজানে রয়েছে ২ হাজার ৫ শত প্রজাতির মাছ। নানা ধরনের জীব জন্তু রয়েছে পনেরো শ’ প্রজাতির। খাওয়ার উপযোগী ফল রয়েছে তিন হাজার প্রজাতির। বিশাল আকৃতির গাছ আছে পাঁচ হাজার প্রজাটির। একটি কথা জেনে খারাপ লাগলে-তাহচ্ছে এই নদীর দুই পাশের জংগলে রয়েছে দুইশত প্রজাতির জাম্বো সাইজের ভয়ংকরসব মশা! 
সভ্যজগতের মানুষেরমধ্যে সর্ব প্রথম আমাজান আবিস্কার করেন ফ্রান্সিস দ্যা অরিলেনা। তিনি ছিলেন স্পেনের রাজপূত্র। ১৫৪১ সনে তিনি পৃথিবীর স্বর্ণ খনী নামে খ্যাত “এল-ডোরাডো” শহরের খোঁজে বেড়িয়ে আমাজানের সন্ধান পেয়েছিলেন।

(এই লেখাটা দৈনিক ইত্তেফাকের কচিকাঁচার কন্ঠ পাঁতায় শিশুদের জন্য লিখেছিলাম-যা বছর পাঁচেক আগে প্রকাশিত হয়েছিল। তেমন কোনো পরিবর্তন নাকরায় এখানেও লেখার/উপস্থাপনায় ছোটদের মানষিকতা লক্ষনীয়) 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন